শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে নাপোলি

জুভেন্টাসকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে সিরি-এ টেবিলে ১০ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নাপোলি। লুসিয়ানো স্পালেত্তির নাপোলি আরো একবার এ মৌসুমে তাদের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ছিল অপ্রতিরোধ্য। মৌসুমের শুরু থেকেই অনেকটা এক পেশে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নাপোলি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে তারা শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।

দুই অর্ধে দুই গোল করে ভিক্টর ওশিমেন গোলসংখ্যা ১২’তে উন্নীত করেছে। দিয়েগো আরমান্ডা নাপোলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের হয়ে বাকি গোলগুলো করেছেন কাভিটা কাভারাটসাখেইলা, আমির রাহমানি ও এলিফ এলমাস। এ জয়ে একই সাথে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান ও জুভেন্টাসকে ১০ পয়েন্টে পিছনে ফেলেছে শীর্ষে থাকা নাপোলি। যেভাবে নাপোলি কাল জুভেন্টাসকে বিধ্বস্ত করেছে তাতে একটি ইঙ্গিত অন্তত পাওয়া গেছে, ৩৩ বছরের লিগ শিরোপা খরা কাটিয়ে দক্ষিণ ইতালির সবচেয়ে বড় ক্লাবটি এখন চ্যাম্পিয়ন হতে পুরোপুরি প্রস্তুত।

আক্রমণভাগে কাভারাটসাখেইলা ও ওশিমেন ছিলেন সবচেয়ে আগ্রাসী। এই দুজন একে অপরের গোলে সহযোগিতা করেছেন। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে নাপোলি। লিগের আগের ১৭ ম্যাচে মাত্র সাত গোল হজম করা জুভেন্টাসকে কোনো দিক থেকেই দাঁড়াতে দেয়নি স্বাগতিকরা।

ম্যাচ শেষে ওশিমেন বলেছেন, ‘আজকের রাতটা ছিল দুর্দান্ত। আমি দারুণ খুশি, একই সাথে দুই গোল ও এক অ্যাসিস্টে দলকে সহযোগিতা করাটাও বিশেষ কিছু। আমরা এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। এখনো অনেক পথ বাকি। আমরা শুধুমাত্র বাকি ম্যাচগুলো জিততে চাই। এর মাধ্যমে মৌসুমের শেষে আমি মনে করি একটি ভাল সুযোগ আমাদের থাকবে।’

স্তাদিও ম্যারাডোনাতে দর্শক ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এটা ছিল নাপোলির টানা অষ্টম জয়। আগের জয়ী ম্যাচগুলোতে তারা একটি গোলও হজম করেনি। ১৯৯৩ সালের মে মাসের পর সিরি-এ লিগের কোন ম্যাচে এ প্রথমবারের মতো মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল পাঁচ গোল হজম করলো। জুভেন্টাস বস আলেগ্রি বলেছেন, ‘নাপোলির মতো একটি দলের বিপক্ষে যখন কেউ ভুল করে, আজ আমরা যেমন করেছি, তাহলে শাস্তি পেতে বাধ্য। তারা এ মুহূর্তে লিগের শীর্ষ দল এবং সেখানেই থাকাটা তাদের প্রাপ্য।’

ম্যাচের শুরু থেকেই জুভেন্টাসকে সহজভাবে খেলতে দেয়নি নাপোলি। উল্টো নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে। ১২ মিনিটে কিম মিন-জায়ের লম্বা পাস ওশিমেন ধরতে ব্যর্থ হন। কিন্তু দুই মিনিট পর আর কোন ভুল করেননি নাইজেরিয়ান এ স্ট্রাইকার।

মাত্তেও পোলিটানোর ক্রস থেকে কাভারাটসাখেইলার ভলি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক ওজিচে সিজিসনি। কিন্তু ফিরতি বল পোস্টে খুব কাছে থেকে জালে জড়ান ওশিমেন। আরাকাডিয়াস মিলিক ও ব্রেমারের হেড অল্পের জন্য জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। ৩৯ মিনিটে ওশিমেনের অ্যাসিস্টে জর্জিয়ান কাভারাটসাখেইলা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বিরতির ঠিক আগে নাপোলির আগোছালো রক্ষণভাগের সুযোগে লো ফিনিশিংয়ে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া জুভেন্টাসের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন।

বিরতির ৯ মিনিট পর কাভারাটসাখেইলার কর্ণার থেকে রাহমানি গোল করে প্রথমার্ধের ব্যর্থতা থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে পেরেছে। ৬৫ মিনিটে কাভারাটসাখেইলার নিখুঁত ক্রসে ওশিমেনের হেডে নাপোলি ৪-১ গোলে এগিয়ে যায়। সাত মিনিট পর বদলী খেলোয়াড় এলমাস এ্যালেক্স সান্দ্রোর ডিফ্লেকটেড পাস থেকে সিজিসনিকে পরাস্ত করেন।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent