নেইমারের গোলে পিএসজির জয়

ডানিলো পেরেইরার শেষভাগের গোলে রোববার চতুর্থস্থানে থাকা লোরিয়েন্টকে ২-১ গোলে পরাজিত করে লিগ ওয়ানের শীর্ষস্থান আরো শক্তিশালী করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এই জয়ে দ্বিতীয়স্থানে থাকা লেন্সকে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছনে ফেলেছে পিএসজি। শনিবার লেন্স ২-১ গোলে অ্যাঞ্জার্সকে পরাজিত করে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে।

বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচ থেকে চারটি পরিবর্তন করে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন পিএসজি ম্যানেজার ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ার। তবে দলের অন্যতম তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ছিলেন মূল দলে। ম্যাচ শেষে পাঁচ মিনিট আগে তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়। গাল্টিয়ার অবশ্য বলেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার কোন ধরনের ইনজুরিতে ভুগছেন না। এ সম্পর্কে গাল্টিয়ার বলেন, ‘ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে আমি তাকে উঠিয়ে নিয়েছি। এখন বেশ ব্যস্ত সূচি চলছে, প্রতিটি খেলোয়াড়ই বেশ চাপে মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপের একেবারে আগ মুহূর্তে প্রতিটি খেলোয়াড়ই নিজেদেরকে যথাসম্ভব ইনজুরি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে চলছে, এটাই স্বাভাবিক। একই সাথে খেলোয়াড়দের মধ্যে পরিশ্রান্ত ভাবও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’

লোরিয়েন্টের মাঠে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল পিএসজি। তারই ধারাবহিকতায় ৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। পোস্টের খুব কাছে থেকে তিনি গোলরক্ষক ইউভোন এমভোগোকে পরাস্ত করেন। এই গোলের পিছনে লিওনেল মেসির স্থানে খেলতে নামা হুগো এটিটিকের সহযোগিতা ছিল। এ নিয়ে এবারের লিগে ১১তম গোল করলেন নেইমার। একই সাথে এমবাপ্পেকে সাথে নিয়ে লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাক-আপ গোলরক্ষক এমভোগো গোলটি রক্ষা করতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছেন। লোরিয়েন্ট কোচ রেগিস লি ব্রিস বলেছেন, ‘সামান্য কিছুটা আঘাত যে পেয়েছে, এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

১৩ মিনিটে এমভোগোর স্থানে খেলতে নামেন আর্সেনালের সাবেক গোলরক্ষক ভিটো মানোনে। বিরতির আগে সার্জিও রামোসের হেড, এমবাপ্পে ও এটিটিকের শট রুখে দিয়ে মানোনের কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। আর্চাফ হাকিমির শট লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করে পিএসজিকে এগিয়ে যেতে দেননি ডিফেন্ডার জেডেওন কালুলু। এর আগে চার ম্যাচে চারজন ডিফেন্ডার নিয়ে মাঠে নামা পিএসজি এই সংখ্যা আরো একজন বাড়িয়েছিল। যে কারণে প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের কোন সুযোগই দেয়নি পিএসজি। গাল্টিয়ার বলেছেন, ‘প্রথম গোলটিতে আমরা সুযোগের সদ্ব্যব্যবহার করেছি। খুব দ্রুত আমরা বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেই। দ্বিতীয় গোলের আগে আমরা তিন থেকে চারটি সুযোগ পেয়েছিলাম। একের পর এক ম্যাচ খেলতে থাকলে অবশ্যই একটি দলকে শক্তিশালী ভাবে শুরু করতে হয় এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চিন্তা মাথায় রাখতে হয়।’

গত ডিসেম্বরে পিএসজির সাথে ঘরের মাঠে ড্র করা লোরিয়েন্ট এর আগের মৌসুমে টেবিলের তলানিতে থেকেও পিএসজিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিলেন। ৫৩ মিনিটে কাল টেরেম মোফির গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। চার মিনিট পর নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার লোরিয়েন্টকে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। এরপরপরই পিএসজির তাদের রক্ষণভাগকে আরো শক্তিশালী করলেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় এগিয়ে যেতে পারছিল না। মূলত সেট-পিসের উপর তারা নির্ভর করতে বাধ্য হয়। ৮১ মিনিটে নেইমারের নিখুঁত পেনাল্টি থেকে পেরেইরা আবারো পিএসজিকে এগিয়ে দেন। এবারের মৌসুমে এনিয়ে নবম অ্যাসিস্ট করলেন নেইমার। অনুপস্থিত থাকা মেসি এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

এই পরাজয়ে লোরিয়েন্ট টেবিরের ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে। এদিকে লিঁওকে ১-০ গোলে হারিয়ে লোরিয়েন্টেকে সরিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে চার ম্যাচে জয়বিহীন থাকা মার্সেই। সেন্টার ব্যাক স্যামুয়েল গিগটের বিরতির আগের গোলে মার্সেইর জয় নিশ্চিত হয়।

লিলির সাথে ১-১ গোলে ড্র করেও তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে লিলি। ব্রেস্টকে ১-০ গোলে হারিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ষষ্ঠ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো নিস।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent