হাঙ্গেরিকে হারিয়ে শেষ চারে ইতালি

টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে না পারা ইতালির সামনে সান্তনা হয়ে দেখা দিয়েছে নেশন্স লিগের সাফল্য। সোমবার বুদাপেস্টে স্বাগতিক হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ইতালি নেশন্স লিগের ফাইনাল ফোর নিশ্চিত করেছে। এই জয়ে গ্রুপ-এ ৩’এ হাঙ্গেরিকে এক পয়েন্টের ব্যবধানে পিছনে ফেলে শেষ চারে উঠেছে আজ্জুরিরা।

শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে জয়সূচক গোল করা গিয়াকোমো রাসপাডোরি ২৭ মিনিটে ইতালিকে লিড এনে দেন। হাঙ্গেরির ভুল ব্যাক পাসের সুযোগে উইলফ্রিড জিনোটো বল ছিনিয়ে নিয়ে রাসপাডোরির দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে ইতালি গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমা বলেছেন, ‘নিজেদের উদ্দীপনা ফিরে পাবার জন্য এই ধরনের জয় প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে টানা দুইবার বিশ্বকাপে খেলতে না পারার হতাশা থেকে কিছুতেই আমরা বেরিয়ে আসতে পারছিনা। কিন্তু সব পিছনে ফেলে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের আবারো নতুন করে শুরু করতে হবে। ইতালির জন্য আমাদের সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

গ্রুপ-এ৩’র শীর্ষে থেকেই কাল ম্যাচ শুরু করেছিল হাঙ্গেরি। তারা লড়াইও ভালই করেছে। কিন্তু ডোনারুমার কারনে তাদের এগিয়ে যাওয়া হয়নি। ৫০ মিনিটে নিকো নেগো ও এ্যাডাম জালাইয়ের পরপর দুটি প্রচেষ্টা দুর্দান্তভাবে রুখে দিয়ে ডোনারুমা ইতালিকে রক্ষা করেছেন। দুই মিনিট পরে ব্রায়ান ক্রিস্টেন্টের ক্রস থেকে ফেডেরিকো ডিমারকোর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হবার পাশাপাশি ইতালির জয় নিশ্চিত হয়। ইতালির জার্সি গায়ে ডিমারকোর এটি প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। ৫৫ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় কালুম স্টাইলেসের হেড আবারো দারুণ দক্ষতায় রক্ষা করেছেন ডোনারুমা।

আগামী বছর জুনে নেশন্স লিগের ফাইনাল ফোর-এ নেদারল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার সাথে যোগ দিল ইতালি।

ইতালিয়ান কোচ রবার্তো মানচিনি বলেছেন, ‘৭০ মিনিট আমরা দারুন খেলেছি। শেষ ২০ মিনিটে অবশ্য কিছুটা হলেও ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম। তারপরও আমরা খুশী। দ্বিতীয়বারের মতো নেশন্স লিগের ফাইনাল ফোরে খেলার গুরুত্ব অনেক।

ইউরো ২০২০ জয়ী ইতালি মার্চে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে ছিটকে পড়লে আরো একবার হতাশ হতে হয় আজ্জুরি সমর্থকদের। বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও ইউরোপীয়ান টুর্নামেন্টের আরো একটি ফাইনালে খেলার হাতছানি এখন তাদের সামনে।

নেশন্স লিগের গ্রুপ পর্বে প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল হাঙ্গেরির উত্থানের গল্প। আর এই গল্পটা ৫০’র দশকের স্বর্ণযুগের ‘ম্যাজিক ম্যাগিয়ার্স’ খ্যাত হাঙ্গেরি দলকেই যেন মনে করিয়ে দিয়েছে। গ্রুপ পর্বে হাঙ্গেরি একে একে জার্মানী ও ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছে। আর এ দুটো জয়ই ছিল ১৯৫৪ সালের পর জার্মানী ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়। যদিও ১৯৫৫ সালের পর এখনো ইতালিকে পরাস্ত করা হয়নি।

এই ম্যাচের মাধ্যমে হাঙ্গেরিয়ান অধিনায়ক অ্যাডাম জালাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হয়েছে। ৭৫ মিনিটে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার সময় ৩৪ বছর বয়সী অধিনায়ককে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন স্বাগতিক সমর্থকরা।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent