ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে নেপাল যাচ্ছে নারী ফুটবল দল

সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে আগামী শনিবার নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে এ আসর অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ এশীয় নারী ফুটবলের ষষ্ঠ আসর এ বছর ৭টি দেশ অংশ নিচ্ছে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী হিসেবে আছে ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক নেপালের সঙ্গে রয়েছে শ্রীলংকা ও ভুটান।

এর আগে ৫টি আসরেই শিরোপা জয় করেছে শক্তিশালী ভারত। টুর্নামেন্টে নেপাল চারবার রানার্সআপ হয়েছে। বাংলাদেশ নারী দল রানারআপ হয়েছে একবার।

তবে এবার ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই নেপাল সফর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন টুর্নামেন্টের সবকটি আসরে অংশ নেয়া বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এবার আমরা যেমন আত্মবিশ্বাসী তেমনি শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের অনুপ্রেরণা সর্বশেষ মালয়েশিয়া সফরের সাফল্য।’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেন, আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে দলকে জিতিয়ে আনা।’ টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত ২২ গোল করা অভিজ্ঞ এ স্ট্রাইকার আরো বলেন,‘একজন স্ট্রাইকার হিসেবে আমার গোল ক্ষুধা থাকবে। লক্ষ্য থাকবে ভালো করার।’

টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে না পারার আক্ষেপও রয়েছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের মধ্যে। প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দেশকে প্রস্তাব করা হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত দুটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে মধ্য প্রাচ্যের দেশটি। যে কারণে মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতাকেই আসন্ন টুর্নামেন্টে কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছেন সাবিনা। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে লড়াই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে দল সামের্থ্যর সবটুকু দিয়ে খেলবে। আমরা নিজেদের প্রতি আস্থাশীল। এখন নারী ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালো লাগা শুরু হয়েছে। জয়ের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেস্টা করব।’

সহঅধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেন,‘আমরা প্রতিদিন একসঙ্গে অনুশীলন করেছি। মালয়েশিয়া সফরের সময় দলের মধ্যে যে ভুলত্রুটিগুলো ছিল সেগুলো সংশোধনের চেস্টা করেছি। ভালো ফল নিয়ে দেশে ফিরতে চাই।’

প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী বলেন,‘নেপালগামী দলে অধিনায়ক সাবিনা ছাড়া বাকী সবাই এসেছে বয়স ভিত্তিক দল থেকে। টুর্নামেন্টের জন্য ৩০ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে ৬ সপ্তাহ অনুশীলন করানো হয়েছে। মেয়েরা প্রতিদিন কঠিন অনুশীলন করেছে। প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আরব আমিরাত প্রতিশ্রুত দুটি প্রীতি ম্যাচ বাতিল করায় মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ কোচ বলেন,‘আসন্ন টুর্নামেন্টে প্রথম দুটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এ মুহূর্তে ওই দুটি ম্যাচের প্রতি জোর দিচ্ছি। জয় দিয়েই আমরা টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাই। লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে শিরোপা নিশ্চিত করা।’

এবারের টুর্নামেন্টে উপমহাদেশের ৭টি নারী দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রাথমিক পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের মোকাবেলা করবে ভুটান। পরেরদিন মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে গোলাম রব্বানীর শিষ্যরা। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। দুই গ্রুপের শীর্ষ চারটি দল সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent