মালয়েশিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের মেয়েদের


শেষ বাঁশি বাজতেই মাথায় হাত সাবিনাদের। কি হলো? যে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৬-০ গোলের জয়, সেই মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে গোলই নেই! ফুটবলে অনেক কিছুই হতে পারে। তাই বলে এক ম্যাচে ৬ গোল আরেক ম্যাচে শূন্য? বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ফিফা ফেন্ডলি সিরিজে হলো সেটাই। রোববার দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশ্ূন্য ড্র হয়েছে।

ম্যাচ ড্র। কিন্তু ম্যাচ শেষে দুই দলের ডাগআউটে দুইরকম দৃশ্য। সাবিনারা কারো সাথে কেউ কথা না বলে কোমড় হাতে দাঁড়িয়ে। অন্য দিকে মালয়েশিয়ার শিবিরে বিজয়ের আনন্দ। বিজয় তো তাদেরই। আগে ম্যাচে অর্ধডজন গোল খাওয়া দলটি দ্বিতীয় ম্যাচ নিজেদের গোলপোস্ট রাখলো অক্ষত। ১-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও খেলোয়াড়দের মুখে হাসি ছিল না।

বাংলাদেশ আগের একাদশ নামালেও মালয়েশিয়া শুরু করেছিল ৫ টি পরিবর্তন এনে। তাদের কৌশলই ছিল কোনভাবে গোল হজম করবো না। কৌশলে তারা সফল। দ্বিতীয়ার্ধে প্রচুর সময় নষ্ট করেছে সফরকারী দলটি, বারবার আহত হওয়ার ভান করে শুয়ে পড়ে খেলার গতি নষ্ট করেছে। তাদের কৌশলে তারা সফলই হয়েছে।

গোল না হলেও খেলা হয়েছে মালয়েশিয়ার অর্ধেই। একের পর এক আক্রমনে দিশেহারা ছিল মালয়েশিয়ার মেয়েরা। তবে সাবিনা, স্বপ্না, সানজিদারা গোল আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ এতটাই আক্রমন করেছে, প্রথমার্ধে ১১ টি কর্নার আদায় করে নিয়েছে। কিন্তু কোন কর্নারই গোলে পরিণত করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে পেয়েছে আরো ১০ টা। ২১ কর্নার পেয়েও কোন কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।

রক্ষণ জমাট ছিল মালয়েশিয়ার। বাংলাদেশের কেউ একজন বল নিয়ে ঢুকলেই একাধিক খেলোয়াড়া তাকে বাধা দিয়েছে। বল কেড়ে নিয়ে বিপদমূক্ত হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন দুই গোল করেছিলেন। কর্নারগুলো থেকে এই ম্যাচেও আখিঁ একাদিকবার ভালো অবস্থায় বল পেয়েছিলেন। কিন্তু এ ম্যাচে কারোই শট যেন ঠিকঠাক হচ্ছিলনা।

এত গুলো কর্নার, খেলা এক অর্ধে। মনে হতে পারে মালয়েশিয়ার গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। আসলে সেরকম কিছু না। বাংলাদেশের মেয়েরা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে ডি বক্সের সামনে এসে। যে কারণে, বল পজিশনে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরও কাজের কাজটি করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে দুইবার মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বক্সে ঢুকে পোস্টে শট নিতে পেরেছে।

ম্যাচ ও সিরিজ সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশের মারিয়া মান্ডা। সর্বোচ্চ গোলদাতা বাংলাদেশের অাঁখি খাতুন।

ম্যাচ শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

বাংলাদেশ একাদশ
রূপনা চাকমা, শিউলি আজিম, আঁখি খাতুন, মাসুরা পারভীন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার (শামসুন্নাহার), কৃষ্ণা রানী সরকার , সিরাজ জাহান স্বপ্না(রিতু পর্না চাকমা), সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক)।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent