শেষ মুহূর্তে পরাজয় এড়ালো বার্সেলোনা

শেষ মিনিটের গোলে গ্রানাডার সাথে কোন মতে পরাজয় এড়িয়েছে বার্সেলোনা। ক্যাম্প ন্যু‘তে সোমবার লা লিগার ম্যাচটিতে রোনাল্ডা আরাউহোর ৯০ মিনিটে গোলে ১-১ ব্যবধানের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কাতালান জায়ান্টরা।

মূল একাদশে কোচ রোনাল্ডা কোম্যান বিবেচনা করেননি জেরার্ড পিকে ও লুক ডি জংয়ের মত অভিজ্ঞদের। ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের মধ্যে ডোমিনগোস ডুয়ার্তের গোলে এগিয়ে যায় গ্রানাডা। ম্যাচে ফিরে আসার তাগিদে সর্বমোট ৫৪টি ক্রস করেও সফল হতে পারেনি বার্সেলোনা।

শেষ পর্যন্ত সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার আরাউহোর হাত ধরে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় কোম্যান শিষ্যরা। যদিও ম্যাচ শেষে বার্সা সমর্থকরা ভালভাবেই ইঙ্গিত দিয়েছে- এগিয়ে যাবার জন্য এই এক পয়েন্ট মোটেই যথেষ্ট নয়।

ম্যাচ শেষে কোম্যান বলেছেন, ‘আমরা আমাদের স্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলাম। এর ফলে আক্রমণভাগে জায়গা কিছুটা বেড়েছে, যদিও এতে মধ্যমাঠ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল। পিকে, ডি জং ও আরাউহোকে দিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছি।’

গ্রানাডাকে এগিয়ে দিতে ডোমিনগোস মাত্র ৮৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। সার্জিও এসকুয়েড্রো দুইবার সার্জিও বাসকুয়েটসকে কাটিয়ে ডুরার্তের দিকে বল বাড়িয়ে দেন। দারুণ ফিনিশিংয়ে সফরকারীদের এগিয়ে দিতে কোন ভুল করেননি পর্তুগীজ এই ডিফেন্ডার। এক গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করে বার্সেলোনা। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সেভাবে গ্রানাডার উপর কোন চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। উল্টো ডারউইন মাচিসের ক্রসে অল্পের জন্য জর্জ মলিনার ভলি ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি গ্রানাডা। বিরতির ঠিক আগে সার্চি রবার্তোর শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

বিরতির পর সার্জি রবার্তোর স্থানে মাঠে নামেন লুক ডি জং। দ্বিতীয়ার্ধে গ্রানাডা খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেনি। সেই সুযোগে বার্সা ক্রমেই নিজেদের গুছিয়ে নেয়। একের পর এক ক্রস করে তারা গ্রানাডার রক্ষণভাগকে ভাঙ্গতে চেষ্টা করে। ম্যাচ শেষের ১১ মিনিট আগে মাত্র পাঁচ গজ দুর থেকে ডি জংয়ের হেড বাইরে চলে যায়। অবশেষে ৯০ মিনিটে আরাউহোর গোলে সমতা নিয়ে বাড়ি ফিরে বার্সেলোনা।

৪ ম্যাচে ২ জয় ও ২ ড্রসহ ৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা টেবিলের সপ্তম স্থানে বার্সেলোনা অবস্থান করছে।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent