নিষেধাজ্ঞা-হুমকির পরও ইউরোপীয়ান সুপার লিগ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে উপেক্ষা করে আলাদাভাবে সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের ১২টি বড় ক্লাব। দলবদ্ধ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লাবগুলো জানায়, ‘লিগের প্রতিষ্ঠালগ্নে যুক্ত হওয়া ক্লাবগুলো হচ্ছে এসি মিলান, আর্সেনাল, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও টটেনহ্যাম হটস্পার্স।

প্রতিষ্ঠাকালীন ক্লাবগুলো এককালীন ৩.৫ বিলিয়ন ইউরো পাবে। টুর্নামেন্ট শুরুর সময় আমন্ত্রণ জানানো হবে অতিরিক্ত তিনটি ক্লাবকে। অচিরেই বহুল আলোচিত এ লিগ শুরু হবে বলে জানানো হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।

এর আগে রোববার উয়েফা জানিয়েছে, এ ১২টি ক্লাবের খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে। এটিকে ছদ্মবেশী প্রকল্প উল্লেখ করে ইউরোপীয় ফুটবলের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরো বলেছে যে গুটি কয়েক ক্লাব নিজেদের স্বার্থে এটি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। অপরদিকে ১২ ক্লাবের জোট বলেছে এর দ্বারা প্রকারান্তরে এ খেলারই উপকার হবে।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কো-চেয়ারম্যান ও সুপার লিগের সহ-সভাপতি জোয়েল গ্লাজের বলেন, ‘মৌসুম জুড়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্লাব ও খেলোয়াড়দের একে অপরের সাথে একত্রিত করে এ সুপার লিগটি ইউরোপীয় ফুটবলে একটি নতুন অধ্যায়ের রচনা করবে। যার মাধ্যমে যেমন বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হবে তেমনি বড় পরিসরের ফুটবলের জন্য আর্থিক সক্ষমতাও বাড়বে।’

শুরুতে যে ৩.৫ বিলিয়ন ইউরো পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে তা উয়েফার বর্তমান টুর্নামেন্ট থেকে অর্জিত অর্থের তুলনায় অনেক বেশি। সর্বশেষ ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও ইউরোপীয় সুপার কাপ এর টেলিভিশন স্বত্ব থেকে আয় হয়েছে মাত্র ৩.২ বিলিয়ন ইউরো।

প্রমোটরদের মতে ২০টি ক্লাবের মধ্যে নিয়মিতভাবেই অনুষ্ঠিত হবে সুপার লিগ। ১৫টি প্রতিষ্ঠাকালীন ক্লাব এ আসরে খেলবে। আগের মৌসুমের পারফরম্যান্স দেখে বাকী ৫টি ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

আগস্টে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের খেলার পর এটি মে মাস অবদি চালু রাখা হবে। এ সময় দেয়া হবে পুরস্কার ও ট্রফি। প্রতিটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সপ্তাহের মধ্যভাগে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলায় ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে ক্লাব সংখ্যা ৩২ থেকে ৩৬টি বাড়ানোর জন্য রোববার সুইজারল্যান্ডে উয়েফার বৈঠক শুরুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে আসল এ সুপার লিগের ঘোষণাটি। যেখানে প্রতিটি ক্লাব কমপক্ষে ১০টি ম্যাচ খেলতে পারবে।

খেলা নিয়ে উয়েফা ও ফিফার সাথে যুদ্ধ পরিহারের জন্য তাদের সাথে কাজ করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সুপার লিগ। রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ও সুপার লিগের চেয়ারম্যান ফ্লোরেন্টিানো পেরেজ বলেন, এর দ্বারা সবাই লাভবান হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে সব পর্যায়ে উপযুক্ত ফুটবল উন্নয়নের জন্য সহায়তা করব।

ফুটবল হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র খেলা যেটির সমর্থক রয়েছে চার বিলিয়নেরও বেশি। বড় ক্লাব হিসেবে তাদের প্রত্যাশা পূরণর দায় আমাদের রয়েছে।’

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent