নিজস্ব প্রতিবেদক : ৮ জুন ২০২২, বুধবার, ১৮:৩৫:১৩
বাহরাইনের কাছে হারবে বাংলাদেশ সেটা অনুমিতই ছিল। দেখার ছিল সেই হারটা কেমন ব্যবধানে হয়। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাহরাইন বড় ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ ডিফেন্ডিংটাকে আরেকটু জমাট রেখে আর গোল আদায় করতে দেয়নি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে। প্রথমার্ধে করা ২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাহরাইন।
বুধবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে একচেটিয়া প্রাধান্য নিয়ে খেলে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমান দিয়েছে।
৩৩ মিনিট পর্যন্ত একের পর এক আক্রমন রুখে নিজেদের পোস্ট রক্ষা করেছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। কিন্ত ৩৪ মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। কর্নার থেকে আবদুল্লাহ হারাম দুর্দান্ত হেডে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোল হজম করেছে ৪২ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে গড়ানো শটে গোল করেছেন হাসান আল আসওয়াদ। প্রথম ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ একবার মাত্র ঢুকতে পেরেছিল বাহরাইনের বক্সে।
৪৩ বছর আগে কোরিয়ার মাটিতে বাহরাইনের কাছে এই ব্যবধানেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এত বছর পরও হারের সেই ব্যবধান কমাতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে ১৯৭৯ সালের বাহরাইনের সঙ্গে এই বাহরাইনের অনেক তফাৎ। সেই হিসেবে বাংলাদেশ গোল কম খাওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তাতে মোটামুটি সফলই বলা যায়।
প্রথমার্ধে বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশের অর্ধে খেলা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে বাহরাইনকে বেশ কয়েকবার চাপে পড়তে হয়েছিল। যদিও তা গোল আদায়ের মতো ছিল না। তবে বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে বল পজিশনটা একটু বাড়াতে পেরেছিল।
বাহরাইনকে মাত্র ২ গোলে আটকে রাখার কৃতিত্বটা অবশ্য বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। প্রথমার্ধেই বাহরাইন গোটা চারেক গোলে এগিয়ে থাকতে পারতো। জিকো দুর্দান্ত কিছু সেভ না করলে হারের ব্যবধান অনেক বেশি হতে পারতো। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ১১ জুন তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে।
Rent for add