কিংস-আবাহনী ম্যাচে চার গোল দুই লালকার্ড

হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের পথটা আরও মসৃণ করতে আবাহনীর বিপক্ষে জয় প্রয়োজন ছিল বসুন্ধরা কিংসের। শিরোপা লড়াইয়ে ফিরতে ম্যাচটি সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল আবাহনীর জন্যও। কিন্তু সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জিততে পারেনি কোনো দল।

ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের যে ব্যবধান ছিল ম্যাচ শেষেও তাই। রোববার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে দারুণ জমেছিল চ্যাম্পিয়ন কিংস আর সাবেক চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর ম্যাচটি। দুই লালকার্ড ও চার গোলের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে সমতা।

দেশের সেরা দুই দলের লড়াই যেমনটা প্রত্যাশা করে দর্শকরা, হয়েছেও তাই। আবাহনী গোল দিয়ে এগিয়ে গেছে। বসুন্ধরা কিংস সমতায় ফিরে লিডও নিয়েছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবাহনী ম্যাচটি ড্র করে প্রতিপক্ষকে ব্যবধান বাড়াতে দেয়নি। ব্যবধান কমাতে না পারলেও পিছিয়ে পড়া আবাহনীর ড্রয়েও স্বস্তি। কারণ ম্যাচের শেষ দিকে বসুন্ধরা কিংস বৃষ্টির মতো আক্রমণ করেছে। দুর্ভাগ্য তারা গোল বাড়াতে পারেনি।

ম্যাচের ২০ মিনিটে বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড কলিন্দ্রেসের গোলে লিড নিয়েছিল আবাহনী। ডান দিক থেকে মনিরের ক্রসে দূর্বল হেড নিয়েছিলেন খালিদ সাফি। বল তার পেছনে থাকা কলিন্দ্রেসের কাছে গেলে তিনি কোন বিলম্ব না করে পা পায়ের শটে কাঁপিয়ে দেন কিংসের জাল।

২৭ মিনিটে ইমন বাবুকে আঘাত করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিংসের সোহেল রানা। বসুন্ধরা কিংস ১০ জনের দলে পরিণত হলেও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। বরং ৪৭ মিনিটে রাকিব লাল কার্ড পেলে আবাহনীও পরিণত হয় ১০ জনের দলে।

কিংসকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন এলিটা কিংসলে। ৬৪ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান রবসনের কাছ থেকে বল পেয়ে বেশ দূর থেকে শট নিয়ে গোল করেন কিংসলে। যদিও এর চার মিনিট আগেই তিনি গোল পেতেন যদি তার নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে রুখে না দিতেন আবাহনীর গোলরক্ষক।

৬৯ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান রবসন গোল করে এগিয়ে দেন কিংসকে। মাসুক মিয়া জনির ঠেলে দেওয়া বলে বা পায়ের শটে ২-১ ব্যবধান করেন কিংসের অধিনায়ক।

আবাহনী ম্যাচে ফেরে ৮৫ মিনিটে। জুয়েল রানার পাস থেকে ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েন্টন গোল করলে ম্যাচের স্কোর হয় ২-২। আবাহনীর রাফায়েল ও কিংসের কিংসলে সুযোগ নষ্ট করলে গোল আর হয়নি ম্যাচে।

ড্র করে কিংস ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। আবাহনী ১৯ পয়েন্ট নিয়ে থাকলো তিনেই।

 

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent