ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে এ কি কান্ড

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মহারণ মানেই পুরো ফুটবল বিশ্বের চোখ এই একটি ম্যাচের দিকেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচকে ঘিরে পরশু রাতে যা ঘটে গেল তা কোনভাবেই কাম্য ছিলনা।

রোববার সাও পাওলোর নিও কুইমিকা এরিনাতে ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ করেই চার আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে ধরতে মাঠে প্রবেশ করেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তারা। আর এতেই বিপত্তি ঘটে। ম্যাচটি বন্ধ হয়ে যাবার সাথে সাথে দু’দলের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতন্ডা দেখা দেয়। ম্যাচ শুরুর আগে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আর্জেন্টিনার ইংল্যান্ডভিত্তিক চার খেলোয়াড়ের কোয়ারেন্টাইন প্রোটোকল ভঙ্গের কারণে আপত্তি তুলেছিল।

ব্রাজিলের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিলেন এজেন্সির (এএনভিআইএসএ) মতে প্রিমিয়ার লিগের চার খেলোয়াড় জিওভানি লো সেলসো (টটেনহ্যাম), এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (এ্যাস্টন ভিলা), এমিলিয়ানো বুয়েনডিয়া (এ্যাস্টন ভিলা) ও ক্রিস্টিয়ান রোমোরো (টটেনহ্যাম) ব্রাজিলে প্রবেশের পূর্বে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

রোববারের ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার মূল একাদশে ছিলেন রোমেরো, লো সেলসো ও মার্টিনেজ। আর এ কারণেই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তারা তাদের ধরতে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে প্রবেশ করেন। ব্রাজিলের দাবী এই চার খেলোয়াড় সাও পাওলোতে খেলতে আসার আগে যুক্তরাজ্যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করার যে তথ্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও তার সতীর্থরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় থেকেই মাঠ ত্যাগ করেছেন। যদিও পরে ব্রাজিলিয়ান কর্তাদের এহেন আচরণের সমালোচনা করে মেসি বলেছেন, ‘আমরা এখানে গত তিনদিন ধরে আছি। তাহলে এখন তোমরা ম্যাচের মধ্যে এটা কেন করতে গেলে।’

আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিও ব্রাজিলের বিপক্ষে মেসির মতই মন্তব্য করে বলেছেন, ব্রাজিল আসলে ম্যাচটি খেলতেই চায়নি। এর পর রাতেই চার্টার বিমানে বুয়েন্স আয়ার্সে ফিরে গেছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া বলেছেন ফেডারেশন ফিফার পুরো প্রোটোকল মেনেই মাঠে নেমেছিল। এ ব্যাপারে খেলোয়াড়দের নিয়ে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়নি। এ সম্পর্কে কোন ধরনের মিথ্যা বলার কোন অবকাশ নেই বলেও তাপিয়া দাবী করেন।

ম্যাচটি শুরু হবার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবার সিদ্ধান্তে ব্রাজিলের কর্মকর্তারা মোটেই অনুতপ্ত নয়। এ সম্পর্কে এএনভিআইএসএ’র পরিচালক এন্টোনিও বারা টরেস ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনে বলেছেন, ‘আমরা এই পয়েন্টটি উত্থাপন করেছি কারণ প্রথম থেকেই আমরা যা চাচ্ছিলাম সেটা তারা পূর্ণ করতে পারেনি। ঐ চার খেলোয়াড়কে শুরুতেই আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও তারা সেটা করেনি। তারা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে এমনকি মাঠে খেলতে নামে। এটা মারাত্মক ভাবে আইন ভঙ্গের সামিল।’

গত ২৩ জুন ব্রাজিলিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যুক্তরাজ্য, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কোন ব্যক্তি ব্রাজিলে প্রবেশ করতে পারবে না। ম্যাচ যদি আসলেই স্থগিত হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে ব্রাজিলেরই। কনমেবল জানিয়েছে, ম্যাচ আয়োজিত না হলে আর্জেন্টিনাকে তিন পয়েন্ট দেওয়া হবে।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent