বাফুফের নিবন্ধিত একাডেমি এখন ১০২


দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাডেমিগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে সেগুলোকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়ার জন্য বাফুফে যে ‘একাডেমি অ্যাক্রিডিটেশন স্কিম’ হাতে নিয়েছে, সেখানে যোগ হয়েছে আরও ২৪ একাডেমি। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে এক-তারকা গ্রেড পাওয়া এই ২৪ একাডেমিকে বাফুফে অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।

এখন সারা দেশে বাফুফের নিবন্ধিত একাডেমি ১০২টি। এর মধ্যে ১টি দুই-তারকা এবং ১০১টি এক-তারকা গ্রেডের। এর আগে বাফুফে প্রথম ধাপে ৭৭টি একাডেমিকে এক-তারকা ও একটিকে দুই-তারকা গ্রেড দিয়েছিল।

বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত এই ফুটবল একাডেমিগুলোকে নিজেদের অধীনে আনতে পুরো দেশ থেকে একটি তালিকা সংগ্রহ করেছিল বাফুফে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) মাধ্যমে এই তালিকা সংগ্রহ করে তার মধ্য থেকে বাছাই করে নিবন্ধন দিচ্ছে বাফুফে।

কিভাবে চলছে একাডেমিগুলো? নিজেদের জায়গায়, নাকি ভাড়া করা? স্পন্সর কারা? শুধু ছেলেদের? নাকি মেয়েদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও আছে? অর্থের যোগান আসছে কোত্থেকে? কয় বেলা অনুশীলন হয়? আবাসিক নাকি অনাবাসিক? ফুটবলারদের পড়াশুনার কি ব্যবস্থা? এমন অনেক প্রশ্ন সম্বলিত ফরম পূরণ করে নিবন্ধন পেতে বাফুফের কাছে আবেদন করেছিল তিন শতাধিক একাডেমি। তার মধ্যে থেকে বাছাই করে দুই ধাপে বাফুফে ১০২টি একাডেমিকে নিবন্ধিত করলো দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।

এএফসির গাইডলাইন অনুযায়ী বাফুফে তিনটি গ্রেডে (এক-তারকা, দুই-তারকা, তিন-তারকা) ভাগ করে একাডেমিগুলোকে নিবন্ধন দিচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তিন-তারকা গ্রেড পায়নি কোনো একাডেমি।

গ্রেড অনুযায়ী একাডেমিগুলোকে কারিগরি সহযোগিতা দেবে বাফুফে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘গ্রেড অনুসারে একাডেমিগুলোকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। আমরা যদি প্রতিটি বিভাগের জন্য কোচ দিতে পারি, যদি তাদের বলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে সহায়তা করতে পারি, সেটা অবশ্যই একাডেমিগুলোর কাজে আসবে।’

এই একাডেমিগুলো নিয়ে বাফুফের পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদি। দুই-তিন বছর পর নিজেদের নিবন্ধিত একাডেমিগুলো নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বাফুফে।

একাডেমি কাপ বা একাডেমি টুর্নামেন্ট- যে নামেই হোক প্রশিক্ষণার্থী ফুটবলারদের কিশোর বয়স থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক টুর্নামেন্টে নামাতে পারলে সেটা হবে প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে পাওয়ার ভালো মাধ্যম। সেখান থেকে ফুটবলার বাছাই করে বাফুফে তাদের মূল একাডেমিতে ওঠাতে পারবে।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাফুফের তৃণমূলের কোচরা নিবন্ধিত প্রতিটি একাডেমিতে গিয়ে তদারকি করবে। একাডেমিগুলোর কার্যক্রম বাফুফের গাইডলাইন অনুসারে পরিচালিত হলে সেগুলোকে পরবর্তী বছরের জন্য নিবন্ধন নবায়ন করা হবে।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent