কিংসলের সামনে যেসব বাধা

বৈবাহিকসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন নাইজেরিয়ান ফুটবলার এলিটা কিংসলে। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টও হাতে পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এই ফরোয়ার্ডকে খেলানোর জন্য বসুন্ধরা কিংস ইতিমধ্যেই তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বাফুফেতে জমা দিয়েছে। বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন প্রিমিয়ার লিগের যে কোনো ম্যাচে তাকে বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে অভিষেক ঘটাতে পারেন।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা নতুন নয় কিংসলের জন্য। আরামবাগের জার্সিতে ২০১১-১২ মৌসুমে তার অভিষেক। বাংলাদেশের মেয়ে বিয়ে করে বাংলাদেশি হয়েছেন একটা স্বপ্ন নিয়ে। সে স্বপ্ন লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ফুটবল খেলা। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন কী পূরণ হবে তার?

প্রিমিয়ার লিগে কিংসলের গোল প্রায় অর্ধশত। স্ট্রাইকার হিসেবে তিনি পরীক্ষিত। জাতীয় দলে গোল করার মতো স্ট্রাইকারের অভাবের সময় দারুণ হতে পারেন কিংসলে। নতুন এই বাংলাদেশিকে লাল-সবজু জার্সিতে দ্রুতই দেখা যাবে- এমন প্রত্যাশা করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

কিন্তু কিংসলে চাইলেই তো আর জাতীয় দলে খেলতে পারবেন না। এ জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে মনে করেন, ‘অনেক প্রসেসিং আছে ফিফার অনুমতি পাওয়ার জন্য। সবকিছুর আগে ঘরোয়া ফুটবল খেলে পারফরম্যান্স প্রমাণ করতে হবে।’

প্রথমত কিংসলে ঘরোয়া আসরে ভালো খেলে জেমির নজর কাড়তে হবে। তারপর ফিফা থেকে অনুমতি আনতে হবে তাকে জাতীয় দলে খেলাতে।

তবে কোচ কিংসলেকে ডাকবেন কি ডাকবেন না সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে না বাফুফে। কিংসলেকে জাতীয় দলে ডাকা হলেই যাতে খেলতে পারেন সেই কাজগুলো সেরে রাখবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি।

‘কিংসলেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে হলে অবশ্যই ফিফার অনুমতি লাগবে। সে অনুমতির পাওয়ার যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেটা আমরা দ্রুতই শুরু করবো। এটা বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়। এমন যাতে না হয়, যে কোচ তাকে খেলাতে চাইলেন কিন্তু ফিফার অনুমতি নেই। তাই কাজগুলো যত দ্রুত সম্ভব করতে চাই’- গণমাধ্যমকে বলেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।

কিংসলেকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অনুমতি দিতে যে প্রমাণাদিগুলো চাইবে ফিফা। এক. বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, দুই. নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেনের ছাড়পত্র, তিন. কিংসলের মুচলেকা। এসব প্রমাণাদি ফিফা প্রেরণ করবে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত ফেলে অনুমতি দেয় ফিফা।

কিংসলে যেহেতু বৈবাহিকসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন তাই ফিফা তার বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ের কিছু কাগজ-পত্রও চাইতে পারে। তার পরিবারের সদস্যদের বিস্তারিত তথ্যও জমা দিতে হতে পারে।

Rent for add

সর্বশেষ নিউজ

for rent